Header Ads Widget

গাজায় যুদ্ধ থামানোর প্রস্তাব, কী বলছে হামাস?

গাজায় যুদ্ধ থামানোর প্রস্তাব, কী বলছে হামাস?



হামাসের প্রতিক্রিয়া: যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে কী বলল গোষ্ঠীটি


গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাতের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের জবাব দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা চলতি সপ্তাহের শুরুতে প্রস্তাবের ব্যাপারে তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া মধ্যস্থতাকারীদের কাছে হস্তান্তর করেছে।


এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে তারা ১০ জন জীবিত ইসরাইলি বন্দি ও ১৮ জনের মরদেহ হস্তান্তরে প্রস্তুত রয়েছে।


তবে হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে, হামাস প্রস্তাবিত খসড়া নিয়ে কিছু আপত্তি তুলেছে এবং তাদের পুরনো দাবি পুনরায় উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে – স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা, গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা প্রবাহের নিশ্চয়তা।


এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গাজায় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য চুক্তি এখন ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’। তিনি আরও জানান, মধ্যস্থতাকারীরা একটি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে এবং শিগগিরই এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।


তবে আলোচনার মধ্যেও গাজা অঞ্চলে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। হামাস-শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় আরও অন্তত ৭২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।


আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার গাজার দেইর আল-বালাহ, খান ইউনিস, রাফা ও গাজা শহরে একযোগে আক্রমণ চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। দেইর আল-বালাহতে একটি বাড়িতে হামলায় অনেকেই নিহত হন, খান ইউনিসে শিশুর মৃত্যু ও তার মায়ের আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে। গাজা সিটিতে বেসামরিক একটি যানবাহনে চালানো বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন।


এদিকে, পশ্চিম তীরে নতুন করে ৫ হাজার বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইসরাইল। জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্বেগ সত্ত্বেও বসতি সম্প্রসারণ থামানোর কোনও ইঙ্গিত দেয়নি নেতানিয়াহুর সরকার।


অন্যদিকে, কেরেম শালোম সীমান্তে ইসরাইলি বিক্ষোভকারীরা গাজার জন্য পাঠানো মানবিক সহায়তার ট্রাক আটকে দিয়েছে। তারা ‘কোনো খাদ্য নয়, কেবল জিম্মি মুক্তি চাই’ লেখা ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদ জানায়। এতে যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য চুক্তি বাস্তবায়ন এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছানো আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।