Header Ads Widget

হামাসের অবস্থান ‘একেবারেই অগ্রহণযোগ্য’— মন্তব্য মার্কিন দূতের

 

হামাসের অবস্থান ‘একেবারেই অগ্রহণযোগ্য’— মন্তব্য মার্কিন দূতের
                 ছবি: রয়টার্স

হামাসের শর্ত: ‘গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার না হলে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নয়’


গাজা পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের জবাবে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস বলেছে, তারা একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চায়, যার জন্য প্রথম শর্ত—গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার।


শনিবার (৩১ মে) এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দিমুক্তির শর্তে তারা ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মি এবং ১৮ জনের মরদেহ হস্তান্তরে প্রস্তুত।


হামাসের সিনিয়র নেতা বাসেম নাইম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত চুক্তিতে প্রকৃত যুদ্ধবিরতির কোনো নিশ্চয়তা নেই। আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফের সাম্প্রতিক প্রস্তাবে হামাস ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।


তবে হামাসের এই অবস্থানকে “পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য” বলে মন্তব্য করেছেন উইটকফ। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, “হামাসের উচিত আমাদের প্রস্তাবিত কাঠামো গ্রহণ করে আলোচনার ভিত্তি তৈরি করা, যাতে চলতি সপ্তাহেই একটি কার্যকর চুক্তি শুরু করা যায়।”


উইটকফ আরও বলেন, “এই চুক্তির মাধ্যমেই ৬০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতির সুযোগ তৈরি হতে পারে, যেখানে জীবিত ও মৃত জিম্মিদের অর্ধেক করে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। এটি ভবিষ্যতের একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথে এগোনোর ভিত্তি হতে পারে।”


ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসের প্রতিক্রিয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “এটি একটি অগ্রহণযোগ্য অবস্থান এবং এটি পুরো প্রক্রিয়াকে পিছিয়ে দিচ্ছে। জিম্মিদের মুক্তি ও হামাসকে পরাজিত করতে ইসরায়েল তার পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে।”


প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে ৫৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। চলমান অবরোধের কারণে অঞ্চলজুড়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। মে মাসে সীমিতভাবে কিছু মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল বলে জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।